নওরোজ নিশাত এর গুচ্ছকবিতা


 মঙ্গল অমঙ্গল বোধ





আমাকে বলতে দাও



বলা আর লেখা এক নয়
আমাকে বলতে দাও ইচ্ছে মতো অক্ষরে স্থিত হয়নি কখনো
তুমি পৃষ্টার দু লাইনে
কেমন করে বাঁচো?
হৃদয়ের দিকে তাকালে,
তুমি তো সে নও
দুটি আবেগ
কোন আবেগে ভাসতে চাও?

পাড়ার মোড়ে
ইচ্ছে আর প্রয়োজন দুয়ের মাঝে
সেই তোমাকে অক্ষরে
কষ্ট করে খুঁজতে হয়

দুই স্তবকের মাঝে
জিরাফের মতো আছি গলা তুলে সেই চোখে দেখা আমিটা
দেখবো বলে



আকরামকে



অনেক কলম জমা আছে
যেন শাল সেগুন বন,
খুব শক্তিশালী দামি
ভাবছি ইজারা দেব
ন্যূনতম মূল্যে ,

কাল বিকেলে

এসো খালধারে বিকেল পাঠে বসে দরদাম হবে

তোমাকে জিতিয়ে দেব
দর ডাকে

সেই ফাঁকে দেখে নেব
একবার ,
কতদিন দেখনি



জীবনের পাঠশালা



জীবনের পাঠশালায় ভর্তি
হলাম কিন্তু ফি বছর ফেল করে একাকিত্ব ক্লাশে বহুবছর আছিআমার ভাগ্যে
প্রশ্ন খুব কঠিন পড়ে,
যার উত্তর দিতে পারি না
অগত্যা একি ক্লাসে
এখানে প্রশ্ন করার কেউ নেই
ফাঁকা ক্লাসে শেষ বেঞ্চে বসে
ভাবি ,আমার বেলায় কেন এমন হয়
ইচ্ছে তো করে , যেতে
নতুন ক্লাসে, ক্লোরোফিল উল্লাসে
বেড়াতে

ছাপিয়ে যেতে সবাইকে




খন্ডিত জীবন



মা ছাড়া কার কাছেই বা বলি ন্যায় নীতি মঙ্গল অমঙ্গল বোধ যেন কর্পূরের মতো উধাও
সংযমের বাঁধ ভেঙ্গে সংযমের উত্তাল তরঙ্গ
এর জন্য কার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলি?
শিক্ষার ব্যর্থতা, মতিচ্ছন্ন ভাব

অসন্তোষ?

মাগো যতই রোষের কারন হোক না কেন
খন্ডিত জীবন কাটাতে



মুখ রক্ষা



অনুভূতি ,স্পন্দন এমনভাবে নিজের সীমানাভুক্ত থাকে তাকে বের করলে সৌন্দর্য হারায়
তুমি বলো কবিতা লেখো
লিখি বটে কিন্তু
কবিতা মোটা দাগের
সাদামাটা কিছু হবে

এই নন্দিনীক অনুভব বিধ্বস্ত হয়ে যায়,
রুচির মুখ রক্ষা করতে গিয়ে

ইচ্ছে মতো ইচ্ছেরা যেভাবে চিত্রকল্প আঁকে সন্তর্পনে
বাইরে এসে টুকরো
সমাজ নীতির প্রস্তাবে

Post a Comment

0 Comments