তোমাকেই দেবো 'উদ্যান' নাম
জব্বারদহ
আগুন উঠেছে গ্রামে,
বিজলীর থামে-থামে। বাগানরহিত ফুল
কই! ডাকে
নুন, নিন
খুলে জাগে
কেহ তিলে
তিলে; যে
গেছে নিরুত্তর
অথই...
প্রিয়তমা এলে খুলে
দিতে গিয়ে
কুন্তলে দেখি খুব
বুলেটের স্পট। বট গেছে
মূল সেও!
রমনার সাদা
ঢেউ, মিশে
হলো মন্ত্রণে
জট... ওগো
প্রিয় কমরেড,
এসো সেন,
আলফ্রেড; হাসান-হোসেন
কেন কম?
আমি দেবো
দীর্ঘ, তুমি
তবে পীর
গো! মুরিদে
মুরিদে মেরো
বম্ব। চাঁদ নিভলো
বলে! নন্দিনী
কই গেলে?
বারুদ চাচ্ছে
পিতামহ। কিছু গাঁও
বহুদূর... আবহে
বাজিছে সুর,
নাম তার
জব্বারদহ! আব্বার ছেঁড়া
বুট পায়েতে
গতির ছুট
দিয়ে দেখি--
যমুনার ধার
ভরে গেছে
ভেলাসব। কে তোলে
প্রেমের রব, কে
ফিরে ফেরৎ যে
আবার...
ঢাবি'র পদ-এক
প্রাচীণ কলায় উপমা
খুঁজতে গিয়ে,
আমি মূলত
হারিয়ে ফেলেছি
খেই। তোমাকে দেখার
নোট লিখতেছি
তাই-- তুমি
হলে গিয়ে
এরকম, এই-এই...
তারপর গেছে ভাষার
মাসেরা বয়ে,
সোহরাওয়ার্দি পড়ছে বিবিধ
পাঠ। তুমি হেঁটে
যাও হাকিম
চত্ত্বরেতে, জ্বলে-পুড়ে
যায় শুকনো
ছবির হাট।
একদা তোমার উজ্জ্বল
ভাস্কর, তোমার
স্নিগ্ধ নাভীর উপরে
বামে। ইকোনো ডিএক্স
কালির সেলসিয়াসে,
শাদা জামাটায়
দিয়েছে কৃষ্ণ-ঘামে!
আমি যা ভাবি
"পুনরায় আমি" সেই,
হাওয়া ভেঙ্গে
যায় মেয়েদের
হলে ফের। খালি
যদি তার
চোখদুটো দেখে কেউ,
দেখা হয়ে
যাবে বাংলাদেশটা
ঢের...
ধর্মতত্ত্ব ধ্যান করে
থাকি তাই,
তুলনামূলকে তুলনারহিত তুমি। তোমাকেই
দেবো 'উদ্যান'
নাম আজ,
একটা বৃক্ষ;
নিখিল হয়েছে
ভূমি...
ঢাবি'র পদ- তিন
সাপোজ; টাইমে তোমাকেই
খুঁজতাম, স্পেসেও বোধের
বিচ্ছুরণের কাল। কী দারুণ
ধাঁচে গড়ে
দিছে ভাস্কর,
তোমার দেহের
জীবনানন্দ-জাল...
এইরূপে খুব পেতে
পেতে হারাবার,
হিসেব উঠেছে
প্রাইভেট ডায়েরীতে! এবার
এনেছি বিমুগ্ধ
সন্দেশ-- মরে
নীল হবো
অযোগ্যতার শীতে...
তুমি শুধু নও
নিক্কণ-জ্বালা-বুক, ভেতরে
পুষেছো রক্ত-বাষ্পচাপ! আবার
এসেছে দেবার
বাসনা তাই,
ফুটছে শতেক
সেলসিয়াসের তাপ।
টিআর-ফায়ারে মিলে
যবে জাদুঘর,
জাদু ভরা
ফলে চোখের
তাকানো-- এই;
কলা খুলে
দেখি সুফিয়া
কামাল হল!
লাভা জমে
সেথা; সেইখানে
আহা, সেই...
তুমি হেঁটে গেলে
খালি ছোটে
নাতো প্রেম,
সাথে ছুটে
যায় নিপুণ
দ্রোহের ফুল! তাই
সাথে নাই
আমাতে আমি
ও সাং,
পথ ভুলে
গেছে নিখিল
নামের ভুল...
এসো না জানুয়ারি
দেখা হলো না। জানা
হলো, হবে
না তা
আর। প্রেম ফুরিয়ে
গেলে কী
রবে বিপ্লবী
চরিত্রে তাহার।
এই হেঁটে হেঁটে
জেগে ওঠা
বহুদূর যাত্রার
সাধ; বেঁধে
থাকা নাটাইয়ের
ছিঁড়ে যাওয়া
আধ। যতো নীল
ছিলো শাদা
শার্ট, পরনের
নেভিব্লু স্কুল। শিখে গেছে
মানুষেরা, সহজ প্রতুল--
এ দুনিয়া
জমা দেয়
মাটির মর্গে
পাওয়া সুপ্রাচীন
ক্লোন। প্রেমের বেতারে
তবু বিলি
হয় রিলে
হয় সবুজ
এপ্রোন...
সব এগারোই জানুয়ারি
কেটে গেলে
যেই ধ্যানে
ফিজিক্স নতুন করে
হয়-- ঘাসের
বাসন এনে
ছায়াপথ এসেছে;
উদয়।
যেভাবে পল্টন পেকে
গেছে, জেনে
তার গায়ে
থাকা ইতিহাসাহাসি। কবিতা
দ্বিতীয়ে নাকি রয়ে
গেছে দশকের
আশি? পাখিরা
ঢাকার ধারে
পিতলপুলিশ ভাবে পৃথিবীরা
রমনার লেক। সে
হালে গরাদগাঁথা,
দাবাতে বদ্বীপ
পেলো মাংসাশী
মুনাফার চেক।
সব গাছে তলে
তলে ঘটে
গেছে প্রকৃত
শেকড়ে মাখামাখি। কাছে
রেখে তবু
তাকে দূরের
দৃষ্টি মেলে
প্রতিটি এগারোতেই ডাকি...
3 Comments
সমালোচনার করার সাহস নেই । খুব ভাল বুঝিও না। আধোআধো বুঝাতে নতুনত্ব কে বেশ ভাললেগেছে। বিষয় বস্তুও।
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
Deleteঅনেক ভালোবাসা আপনাকে পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য। আগামিতেও পাশে চাই এভাবেই। <3
Delete