আর্দ্র হোক
জল বাড়ুক সমুদ্রে, উদ্বৃত্তে আসুক
উল্লাস
দেদার দর্পণে প্রতিফলনের চিৎকার
শোনা যায়, এমন সুনসান তবু এখানটা!
এদের হৃদয় থেকে আর্দ্রতা কে শুষে
নেয়–
গ্রীষ্মকাল?
(অথবা আর-কিছু)
বেদনাবিকশিত মনে
পাথরচাপা যা কিছু হবে না
প্রকাশ
শিশিরের বুক
মিশে যাবে মৃত্তিকার সাথে
বিলীন উত্তাপে
তামাম জোছনা বেকার
বহু বহু দিন
এমন মলিন
এতটা!
বাতাসে নতুন দিন ভাসে
জল বাড়ুক সমুদ্রে, উদ্বৃত্তে আসুক
উল্লাস–
চোখে চাঁদের স্পর্শ নিই
এদিকে আকাশে আকাশে উড়তে থাকুক
প্রাথমিক পাখি–
মধ্যরাতের
জ্বলজ্বলে অহং
প্রতিঘাত
মানুষ ও পশু পাশাপাশি হেঁটে
এগিয়ে গেছে এখন সেই পৃথিবীর দিকে
যেখানে মানুষ হয়েছে পশু
আর পশু পেয়েছে আর্ত মানবতা
প্রশ্রয়
সে আমার জন্য হৃদয়কে প্রস্তুত রাখে
আবহাওয়াকে রাখে সহনশীল ও নমনীয়
সময়কে সে প্রসারিত হতে দেয়
জমিয়ে রাখে মৌসুমের সবটুকু শুভেচ্ছা
আমি শুধু আকাশের নীচে দাঁড়াই
এক হতে দিই চারবিন্দু চোখ
হার্দিক কম্পন যদিও প্রতিজ্ঞাসমূহকে
টলায় না
একটি নেপথ্য হাসি আমাদের দেখা হওয়ার
মুহূর্তকে
আতশবাজির মতো মুহুর্মুহু আলোকিত
করে
মূলত যুদ্ধ
বিবিধ যোদ্ধা সম্পর্কে বোদ্ধাগণের
মধ্যে দ্বিমত
থাকলেও, প্রতিটি মানুষই যে মূলত
যোদ্ধা সে
বিষয়ে আমাদের সংশয় আর থাকে না কেননা
দেখতে পাচ্ছি মন আমাদের যথেষ্ট
ঝামেলায় ফেলেছে
দিনরাত্রি অতিবাহিত হচ্ছে যন্ত্রণায়,
ক্লোজশটে জীবন
রক্তাক্ত দেখাচ্ছে তবু প্রাণিদেহ
আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহসহ দণ্ডায়মান
এবং
ভবিষ্যতেও তাই ঘটবে
বয়স্বী বালক
বালিকা হই বহুদিন পর, উদিত হয় অসুখী
বালক
দৈনিক বাল্যকালে, অস্ত গেলে সময়
পুরাতন প্রতিজ্ঞা ঊহ্য থাকে
কুয়াশায় ক্রমশ, ঢেকে গেলে দিগন্ত–
সারা মনে সারমন বাজে
মায়াবতী পাষাণী মায়াবী হন আরও
ঐকান্তিক প্রার্থনায় কিছু মগ্নদীপ জ্বেলে
সকালের হয় উদ্বোধন
তবু শ্বেতপাথর কই, উৎকীর্ণ করে
কী অক্ষর
সেই মহাকাল– সম্বৃদ্ধি বা সুখ নয়,
শান্তি নয়, নয় স্থিতি
ভবিষ্যৎ ঢাকা পড়ে ভূতে, অনন্তর–
একটি দ্বিধাবর্ণিত ড্যাশে
সমগ্র মনোভাব আটক
0 Comments