গন্ধের রূপ দেখা খিড়কিগুলো...
ভূমিজ
পোষাকি বেশে প্রক্ষালনের ভূমিতে ছুটে গেছি
তার যোনিতে তখন মানব শিশু স্খলনে নিমজ্জিত
তাকে জড়িয়ে নিতে উত্তোলিত অসংখ্য হাত
আঙুলগুলো রঙের মুখোশ মেখে
উল্লাসে দিয়েছে সাঁতার
আহ! শ্রীযোনি তোমার বেদনার খুশি কে দেখে?
যে রূপ দেখে দেখে নিজেকে করেছি বিবস্ত্র
নতুন জন্মে আবার সাঁতরাই পৃথিবীর রঙ মেখে
কথা
কথা বলতে বলতে ঝড় ওঠে
নদী হাঁটে
সমুদ্র প্রশস্ত হয়
শিশিরেরা গল্প বলে
সে গল্পে মগ্ন পৃথিবী
কথা বলতে বলতে সূর্য বড়ো হয়
ছোটো হতে থাকে মানুষ
কথা বলতে বলতে রক্ত ঝরে
কথা বলতে বলতেই আগুন বাড়ে
সে আগুনে নিজেকে পোড়াই
যন্ত্রণা
গন্ধের রূপ দেখে খিড়কিগুলো খুলে যেতে চায়
মস্তিষ্ক নিতে পারে না বলে তা বন্ধ থাকে
আবদ্ধ শরীরের ভেতরে শিরায় যে ক্রিড়া
সে যজ্ঞে পৃথিবীর কোষ তড়পায়
এ বেদনার রঙ আসমান জমিনে ছড়ালে
হাওয়ারা দূরে যেতে থাকে
প্রভু
পৃথিবীর উন্নয়ন দেখো- ক্ষয় দেখো না!
অসহায়
ঈশ্বর ভীষণ অসহায়
তবু মানুষেরা প্রার্থনা করে
সেও নতজানু হয়-
আমাকে মুক্তি দাও, স্বাধীনতা চাই
তারপর অট্টহাসি...
যে প্রাণি মানুষ হলো
সে জানে স্বাধীনতা বলে কিছু নাই
যদি ডুবে যেতে হয়
যদি ডুবে যেতে হয়
তবে ডুবে যাওয়া যায়
যদি কথা বলতে হয়
তবে বলে যাওয়া যায়
শুধু বলো, তাতে
পৃথিবী বদলাকে কি না
মানুষ আলো পাবে কি না
মনের ডানা কাদাতে ঝাপটায়
দূরের নীলিমা মনেতে আটকায়
যৌগ স্বপ্ন দেখে
কাদায় ভালোবেসে
আমাকে পাবে না
সুখের নদী কোথায় চমকায়
সুরের বাঁশি দূরেতে থমকায়
খাঁচাকে ভালোবেসে
মহড়া দেই বসে
পাখিটি হাসে না
2 Comments
বামিহাল এর জন্য শুভেচ্ছা রনিদা।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ প্রিয়। আপনাদের ভালোবাসা আমাদের পাথেয়।
Delete