মামুন স্বরকার এর কবিতা

স্বর্গে ফলিত  বৃক্ষপল্লবের পালাগান...



আড়াল আধাঁরের আয়োজন


তারপর বেদনা বনেদি বাক্যের গলা টিপে ধরে কর্কট কলায়
নৈঃশব্দে হাতুড়ি মারে তল তলে অস্থিরতা ,তখন পরিধি ছেদ
করে দৌড়ে যায় আয়তন-বেসুতি বিবর্তন রোদেরা

রোদে ধুয়ে ধুয়ে সেইসব অনুভব ঘন ঘনতর হয়ে
মুমূর্ষ মেঘের অধিবেশন ,তবু
এ শহর শেখে না নিতে ঘর্মাক্ত বৃক্ষের ঘ্্রান
                 
                          নীল শূন্য হয় আকাশ-কাহন এখন
                         পকেটাকাশেই সমস্ত নীলের বসবাস

ঈশ্বরকে ফাঁসি দিয়ে পরিপুষ্ট হয় রাতের গেলাস



স্বীকারোক্তি


জানি এই ফুলগুলো ভুল হয়ে শুল হবে একদিন
র্অঘ্য সব  শব হয়ে  ধনু হয়ে  মিটে দেবে দেনা
সমস্ত ঊরসভূমি উজার হলে কিভাবে যায় করা মানা

এই যে বায়বীয় বসে বসে লিখছি অনবরত বিধুভারাক্লান্তে
আমন্ত্রণ পত্র , হয়ত নাছোঁয়া ঘাসের মতো হলু হয়েছে রোদ
অগোচরে-অসুখে

এই তো গুচ্ছময় তুমি তো এখনো ঝকঝকে জাগতিকে
আবিরাম চলছে রস রাসউৎসব আর ছেলেপুলে বেড়ে
যাচ্ছে মেঘকুকুর

কেননা সব বেদনা সব হাসি থামাতে পারেনা



ভুল গান


পথ দেখাচ্ছিল ফড়িং     শরীরে রোদ মেজে
    হেমন্তের প্রচ্ছদ টেনে সাময়িক শহর
                  জেগে ওঠা
         কালো ঠোঁটের নীল চুম্বন
    চোখে এসে লাগচ্ছিল ধূলোর গান
            অন্ধ বন্ধ হয়ে স্বন্ধ
মর্মাগ্নি নেভা চুলার চিকচিক চালাক গতর


গাঁয়ে র্বষাচিহ্ন



ক্ষেতের উপর জল
জলের ভেতর জাল
জালে বিদ্ধ শূণ্যতার আকাশ
আকাশে উড়ছে অর্ধনগ্ন নারীর নহর

পানি খেতে খেতে আমার মৃত্যু হলো
আর আমি জলের হয়ে গেলাম
          প্রদর্শিত হল
যারা জলের, কচতুরীর মত ভেসে চলে নিরুদ্দেশ


বালিকা চাটা দেবতার ঝুলি


যাচ্ছেতাই শতকে দাহ অস্তি
অক্ষি নিয়ে  খুঁজে ফিরছি
গুম হয়ে যাওয়া শতরঞ্জি
আমার ইছামতীর জলকথা, দেখি
স্বর্গ ফলিত  বৃক্ষ পল্লবের পালাগান সমঝোতাহীন হলুদ
আর বুদবুদ করে উড়ে যাচ্ছে মানবিকতা, মেলে যাচ্ছে
সামীয়ানা শোকসন্ধ্যা

এসব  সন্ধ্যায়  রান্না  হয় আতœীয়দের  ঘরে, আমাদের শেকড়
ঘাসের  মতন  বলে হেসে হেসে খেয়ে খেয়ে প্রাকৃতিক  ডাকে
জঙ্গলে  দৌড়ায়_ আতশবাজি  আর  নিয়নের কুচকাওয়াজের
ভেতর ফুটে তোলে অন্ধকার বাল্ব- মেতে ওঠে ধূমছড়ি উৎসব 

এসব আয়োজনে দেবতাদের আনাগোনা, বালিকা চাটা দেবতাদল এখানে তন্ত্র খুলে দেখান লালদাঁতের কারুকার্য
তুলে নেন মদির স্বাদ;খেলতে বসেন চতুরঙ্গ, হয়ে উঠি মূর্খ গুটি- এরই মধ্যে চাল ফাঁকি
       
                  গুম গুম খেলায় শত শত শতরঞ্জি

Post a Comment

0 Comments