নকুল দেবের ৫টি কবিতা

এইখানে একদিন কুয়াশার মতো ভোর



মনেই হয় না


মনেই হয় না এখানে নিঃসীম অরণ্য ছিলো
বৃক্ষে বৃক্ষে জমতো অদৃশ্য কথোপকথন
এখানে তরতরিয়ে ঝরনা বইতো
অন্ধকার সাগরে ডুবে থাকতো এই বনভূমি 
মনেই হয় না এখানে প্রচুর প্রেম ছিলো
অনিবার্য সুখ ছিলো, সুউচ্চ পাহাড় ছিলো।

মনেই হয় না
এইখানে উড়তো ঝাক ঝাক রঙিন প্রজাপতি
বাতাসে বাতাসে দোল খেতো লাজুক স্বর্ণলতা

মনেই হয় না
এইখানে একদিন কুয়াশার মতো ভোর হতো
হলুদ রাঙা বিকেল হতো আর কয়লার মতো রাত্রি 

মনেই হয় না...


কে যেন


কে যেন হেঁটে গেছে
ধুলো বালি মাখা এই পথে
এখনো তার অস্পষ্ট পায়ের ছাপ
                     পড়ে আছে।

কে যেন গোপনে ছুঁয়ে গেছে
  এই অগোছালো লতাপাতা
        এই মুখরিত বনভূমি।

 কে যেন ভালোবেসে গেছে
        এই কোমল পাথর
       এই কাদামাখা শরীর।

কে যেন!


তোমার ভিতর আমি


এমন আশ্চার্য সুন্দর গোলাপ
আমাকে কেউ দেখায়নি

এমন অদ্ভুত রহস্যময় অন্ধকারে
আমাকে কেউ ভিজিয়ে দেয়নি

কেউ আমাকে এমন প্রেমের জলে
যখন তখন ভাসিয়ে দেয়নি।

কেউ আমাকে প্রখর রোদে
হালকা বাতাসে হাঁটতে বলেনি।

কেউ আমাকে তোমার মতো
করে তোমার ভিতর হারিয়ে দেয়নি।


তোমার স্পর্শ

 
তোমার স্পর্শ গায়ে মেখে থাকি
কিছুতেই এই শরীর শুকাতে
  দেই না রোদ্দুরে
তোমার ছোয়া লেগে আছে
আমার ঠোঁটে 
আমার উরুতে
আমার জঙ্ঘায়সহ
আমার সর্ব শরীরে
আমি কিছুতেই তোমার শীতল স্পর্শ
আমার শরীর থেকে মুছে
 দিতে চাই না।


মাতাল স¦প্ন


নির্ঝর বুকে একরাশ পিপাসা
অতলে জ্বলে নিবিড় অরণ্য
নিঝুম অন্ধকারে কে যেন হানা
দেয় হদয় রাজ্যে ।
কেউ হাততালি দেয়, কেউ বা অট্টহাসে
  কেউ মদের নেশায় টালমাতাল
এ যেন এক উদাসীন উš§াদ পৃথিবী
কেবল নক্ষত্রের সাথে নক্ষত্রেরই আলাপ হয় ও 
একদল মাতাল আঁকে রাতের আকাশে মায়াবী  রংধনু।

Post a Comment

0 Comments