সুবীর সরকার এর গুচ্ছ কবিতা

পেঁয়াজখেতের গল্প ও অন্যান্ন কবিতা










চশমা


ভাঁজ করা চশমা।চশমা কি নির্জন
হতে জানে!আদতে আগ্রাসন,
যেভাবে লোকদেবতা নাগরিক হয়ে
               ওঠেন।
  

ভাষাদিবস

চুমু নয়।চুমু বদলাচ্ছে চুমুকে।
মেঘ এসে বৃষ্টি দিয়ে যায়
আমরা কুয়াশায় ঢেকে রাখি
              যাবতীয়


পেঁয়াজখেতের গল্প

চাঁদের আলোয় পেঁয়াজখেত।গসপেল থেকে
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তোমাকে তুলে আনি
হাজার হাজার চা-চক্র আমাদের
সাঁতার জানি।তবু ভয়,ডুবে যাবো না
                    তো


বৃত্তান্ত

বৃত্তান্তে যাবো না বরং গন্তব্যে
              পৌঁছই
ফের নীরবতা।
উনুনে গুঁজে দেব
         টুপি


শিরোনামহীন


সর্ষেবনে বিকেল ডুবছে আর আমি বিকেলের
                         দিকেই
হাঁটতে থাকি।যেন বা স্তব্ধতা,বাঁশির শব্দ!
কান্নাকে প্রতিরোধ করি,শরীরে হলুদ মাখি
আয়নার পাশে নখ,লিখি নখদর্পণ

হরিণশাবকের জন্য

সরলবর্গীয় বৃক্ষের পাশে যে প্যাঁচা রাতপাখিতে
বদলে যায়;আমরা কি তার বিড়ম্বনাটুকু বুঝতে
পারি!আকাশের মেঘ ছায়া ঢালে।মৃদু কাশির
শব্দেও ঘোর কাটে না।উঠোনের রোদে কখন
                         কিভাবে
হরিণশাবক!

লম্বা লম্বা রাস্তাগুলি।মাইল মাইল গানগুলি।
খাল ও বিল নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া।
হসন্তের ব্যবহার কমে গেলেও দোলাচল
থাকে না কোন।নদীতে শীত
                ও
পেখম । চাঁদ ডুবে
           যায়।

তামাকচাষিদের জন্য

একজন তামাকচাষির আত্মহত্যার পর বিন্দু দিয়ে
বৃত্ত আঁকা শুরু।দিবারাত্রি পলায়ন আমাদের।শিস
তুলছে পাখিগণ।নৌকোটি পালতোলা।আর
                       তামাকপাতায়
জল

হিম

হালকা হিম।হেমন্ত চেনা যায় কেবল ফসল
                       দিয়ে
কেমন পুরুষ!বুকে পিঠে পেশি নেই!
পুঁতে রাখা পাপ,স্তরে স্তরে
অতলান্ত সব হাওড় বাঁওড়
বন্ধ চোখ ঘিরে নেমে আসে
                মেঘ

রি-মেক

সেই শিকার ও শিকারির গল্প।অথচ হাড়হিম
কোন রোমাঞ্চ নেই।কমফোর্ট জোন থেকে
বেরিয়ে পড়া।রি-মেক বলতেই শ্লেষ মেশানো
                     ডিনারটেবিল

গান

চিরদিনের কোন গান রীতিপদ্ধতির আলোয় নাচতে
থাকা পাখিরা।গঞ্জের হাট থেকে পোষ্টম্যান
                         ফিরছেন
চোখে স্বপ্ন।সাইরেন ও নদীনালা।

  

বেড়াল


তোমার পায়ে খেজুরকাঁটা।যদি মুখরিত হবার
অবকাশ চাও তবে বেড়ালের লেজ নিয়ে খেলা
শুরু কর।বাঁশিকে জন্মাতে দেখি।সমস্ত গানই
                         আদ্যন্ত
হাতির গান-


জাদু


জাদুর ভঙ্গিমা জানি।শুকিয়ে যাওয়া
জলধারায় কে আর নৌকো ভাসাবে!

এত এত নিমকাঠ।ব্যঞ্জনধ্বনি।





টেলিফিল্ম

বেশ লম্বা একটা রাস্তায় তিনি হো হো করে
                      হেসেছিলেন
পচাতামাকের দেশ।বিতর্কের বাষ্প।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা গলায় কথা
                বলি


পাড়াগাঁ

ইঁদুরকে আর গর্ত চেনাতে হবে না!
বদরাগী ও বেয়াড়া দিনগুলিতে কুড়িয়ে আনি
                      দাঁত
থেকে যাচ্ছে অন্ধকার।থেকে যাচ্ছে
                    পাড়াগাঁ।


পার্বণ


এত যে পরিখা ছিল!পরিধী নির্দিষ্ট জেনেই
গীদালেরা গান ধরে।পালকে ভরা বাসা।
আদুরে বেড়ালেরা দ্রুত ছুটে আসে।তখন
বাঁশি ও বাদ্যে
              ঋতুবদল!



e-mail:subirsarkar25@gmail.com



Post a Comment

0 Comments