রনি বর্মন এর কবিতা


রনি বর্মন এর কবিতা












ব্যক্তিগত চেতনার খাতা


কালান্তরে কালোমুনিয়ার ঠোঁটে
ফুটে উঠলে বৃষ্টি-বিনোদ সুর-
সেই সুরের বিবর জ্যোতি-
ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাদের-
বর্তমানের বনেদি রোদন।

খ্যাতিরভ্রম কেটে গেলে
আমাদের অস্তিত্বের সবটুকুই পতিত হয়-
বিব্রত এক তামসিক মসকারায়।

অথচ আমরাই-
দেশে দেশে বৃষ্টি বিলি করে
বিনিময়ে, মুঠোভর্তি অন্ধকার নিয়ে-
ঘরে ফিরে আসি।

রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিয়ে অন্ধকার
ব্যক্তিগত চেতনার খাতায় পুষে রাখি-
সচিত্র হাসির বনবেড়াল।




পিঙ্গলেশ্বরী

পিঙ্গলেশ্বরী তুমি এখন
জলপাখিদের রানী
পদ্মদীঘির ওপারে থাকো
তোমার মেঘলা বদন খানি।

এপারে আমার কলের কড়া
জং ধরেছে অতি
গতিরহিত অতি’মাত্রিকতার
করুণ পরিণতি।

ত্রিবেণীর ঘাট খুঁজতে গিয়ে
ভ্রান্ত হলে মতি
রসহরা এক মস্কারাতে
হারিয়ে গেছে জ্যোতি।

এখন,
ইড়ার পথে হাটতে আমার
গুরুজনের মানা
অমাবস্যায় চাঁদের উদয়
তাই হলো না জানা।


পিঙ্গলেশ্বরী-২

কতই সুখ আছো গো তুমি
অথই সুখে নাচো!
কতটা সুখ পতন দিয়ে
কতটা সুখে বাঁচো?

পিঙ্গলেশ্বরী তুমি
জলপাখিদের রানী
পদ্মদীঘির অীধশ্বরী, তবুও কেন-
মেঘলা বদন-খানি?


পিঙ্গলেশ্বরী-৩

তোমার হাতে অনন্তকাল
আমার ক্ষীণ আয়ু
আমি জ্বালাই ভাবনাবিলাস
তোমার শুচিবায়ু।

তবু জেন, সুষুম্নাএই প্রকৃতিতে
মেখে পরাগরেণেুর ক্ষার
অধরার পথে হেরে যেতে-যেতে
করি তোমাকেই আবিস্কার।


প্রতিবাদ

আষ্টাদশী তুমি হয়তো আমাকেই করতে আকর্ষণ
তোমার রেশমীকালো চুলের খাঁচে-
হন্তদন্ত, প্রসস্ত পৃষ্ঠদেশ ঢেকে নিলে।
তা না হলে কিসের প্রতিবাদে-
নাকের ওপর ভ্রু করলে কাচু?
-আমার দৃষ্টিরা ছিলো না তো সেদিকে
যেখানে তোমর অভিসার ছড়িয়েছিলে।

অভিমানে, অপঘাতে মৃত্য দৃশ্যরা
উড়াল চোখে মেখে দিলে
ইস্পাহানী হুইসেল
আমিও -নাৎসির অনুসারী তখন
নিরবে চোখ রাখি বায়স্কোপের অন্ধরিলে
ডোরাকাটা সাপিনীর উল্লম্ফন নৃত্যে সেখানে
দমবন্ধ আস্ফালনের উন্মগ্ন তলোয়ার
ঝাঁঝালো করণ প্রকৃয়া চলে...









রনি বর্মন
জন্ম: ৪ জানুয়ারী ১৯৮৫ খ্রি. বগুড়া।
সম্পাদনা: বিতল (ছোট বড় মিলে মধ্যবয়সী কাগজ),
বামিহাল (চিন্তার খসড়া)
কথা: ০১৭৪৩৯১৮৯১৬
আকাশডাক:roniburmon@gmail.com; 

Post a Comment

0 Comments