বাংলা কবিতায় দশকের রাজনীতি
মোহাম্মদ নূরুল হক
দশককেন্দ্রিক কবিতার রাজনীতি কবিদের জন্য বিরক্তি; অকবিদের জন্য সৌভাগ্যের। কবি কখনো দশকের বৃত্তে নিজেকে বন্দি করতে চান না, অকবিদের একমাত্র ল্য ুদ্র-ুদ্র বৃত্ত তৈরি করে তাতেই বন্দি থাকা। স্বসৃষ্ট ুদ্রবৃত্তের বনসাঁই হওয়ার জন্যই চলে তাদের যত নর্দন-কুর্দন। দশক ছাপিয়ে মহাকালের নিক্তিতে কাব্যবিচারের প্রসঙ্গ উঠলেই দশকবাজদের পিলে চমকে ওঠে। তাদের মূল কাজ কবিতা নয়, দশককেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চা। ‘পৃথিবীতে যত ধরনের রাজনীতি রয়েছে, এর মধ্যে সাহিত্যের রাজনীতি সবচেয়ে ভয়ানক। অন্য যেকোনো পেশার লোকের চেয়ে সাহিত্যশ্লিষ্ট লোকের আত্মম্ভরিতা বেশি। গোষ্ঠীপ্রীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, স্টান্টবাজি ও øবরিÑ এ অঞ্চলের মতো অন্য কোথাও নেই। ইংরেজি পলিটিক্স শব্দের যথাযথ প্রতিশব্দ বাংলায় নেই। তাই রাজনীতি শব্দটা
কাছাকাছি হওয়ায় গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু কী সেই রাজনীতি? প্রতিভাবানকে উপো করে মেধাহীনদের দৌরাত্ম্যের ইতিহাস অনেকের-ই জানা। অনুরাগী পাঠক ও খ্যাতিপ্রত্যাশীদের প্রচার-প্রচারণায় সমকালে যিনি খ্যাতির শিখরে উঠতে পেরেছেন, তিনি কখনোই নিজের আশে-পাশে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানীদের প্রশ্রয় দেন না। নিজেও কোনো জ্ঞানী কিংবা নিজের চেয়ে প্রতিভাবানের সঙ্গে যোগাযোগ রা করে চলেন না এবং নিজের চেয়ে বেশি প্রতিভাবানকে সহ্য করতে পারেন না।’ (সাহিত্যের রাজনীতি : মোহাম্মদ নূরুল হক)।
স্ব-স্ব কর্মেেত্র রীতিসিদ্ধপথে সিদ্ধি অর্জনে ব্যর্থরা সব সময়ই শর্টকাট পথ খোঁজে। কোনো পথের সন্ধান না পেলে অদ্ভুত কিছু উপায় বের করে তারা। যদিও ওই পথে চলার মতো কোনো বিশেষ নিয়ম-রীতি তারা প্রবর্তন করে না এবং নিজেরাও জানে না কোনো রীতি। শিল্পের প্রতি, জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায় পালন করতে হয় না। তারা একদিকে হয় নিয়ম বিচ্যুত, অন্যদিকে তেমনি সমাজ-শিল্পচ্যুতও। ভাবতে অবাক লাগে, এই ব্যর্থরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য কখনো অনুতপ্ত হয় না। বরং নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আÍম্ভরিতায় ভোগে। নিয়ম না-জানা ও না-মানার সুবিধা এইÑ তারা ইতিহাস-ঐতিহ্য-নিয়মের প্রতি কোনো দায় বোধ করে না। ফলে হাজার বছরের কবিতার প্রোপট নয়, নিজেদের চর্চার ুদ্রকালকেই কবিতাচর্চার মাহেন্দ্রণ বলে দাবি করে তারা। যদিও সে চেষ্টা নিজেদের বাকবিতণ্ডাপর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।
এখন প্রশ্ন হলোÑ কারা এই দশকগ্রস্ত?Ñ ‘যারা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি শনাক্ত করতে ব্যর্থ, তারাই দশকভিত্তিক আলোচনায় আহাদি হয়ে ওঠেন। দশকভিত্তিক আলোচনায় সাহিত্যের পাঠোদ্ধার ও বিশ্লেষণ করার সুযোগ থাকে কম। কেবল অন্তঃসারশূন্য মন্তব্যপ্রধান আলোচনা করে যেমন আলোচক সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন, তেমনি সে আলোচনার সূত্র ধরে দশকিয়া সাহিত্যিকও বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকেন। সাহিত্যের যুগবিভাগ ও প্রবণতা উপলব্ধি করা ধ্যানসাধ্য গবেষণার বিষয়। সে ধ্যানসাধ্য গবেষণায় অসমর্থরাও দশকবিভাজনে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সাহিত্যের যুগবিভাগ ও প্রবণতা উপলব্ধি করার জন্য সাহিত্যের ভিত্তিভূম আত্মস্থ করা জরুরি।’ (সাহিত্যে দশক বিভাজ : মোহাম্মদ নূরুল হক)। কিন্তু দশকবাজদের মূল সমস্যা কোনো কিছুর অতীত-বর্তমান না জেনেই কবিতাবিষয়ে নিরর্থক মন্তব্য করা। তারা দশকবাজি করতে গিয়ে এই দশকবিভাজনকেও বিতর্কিত করে তোলে। একদশকের ধ্বজাধারীরা অন্য দশককে দেখে তাচ্ছিল্যের চোখে। নিজের দশকের তুচ্ছকে মহীরুহ দাবি করলেও অন্যদশকের সবাইকে করে অবজ্ঞা। নিজের কাজ দিয়ে তারা বড় হতে চায় না, অন্যের যাত্রাভঙ্গ করার জন্য নিজের নাক কাটতেই ব্যস্ত থাকে। দশকবাজি সম্পর্কে কার্তিক মোদক সম্পাদিত ‘সীমান্ত সাহিত্য’-এর মে-ডিসেম্বর ২০০০ সংখ্যায় প্রকাশিত এক সাাৎকারে কবি অরুণ মিত্র বলেছেন, ‘আমি দশকবিভাজনে একবারেই বিশ্বাসী নই। সাহিত্যের গতি দশ বছর অন্তর পাল্টায় না। এমন কোনো নিয়ম নেই। কোনো বিশেষ সাহিত্যের ধারা হয়তো দশ বছর বা পঞ্চাশ বছর থাকতে পারে। তার পরে হয়তো পাল্টায়। দশক বিভাজন করলে একটা সুবিধা হয় এই যে, অনেক কবির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।’ অরুণ মিত্রের এই বক্তব্য যথার্থ। দশকবাজির প্রধান সুবিধা এইÑ যার মহাকালের কবিসভায় পেছনের আসনটিতেও বসার যোগ্যতা নেই, সেও একটি দশকিয়া সংকলনের সম্পাদক হওয়ার সুবাদে নিজের রচনাটি ঢুকিয়ে দিতে পারে। এরফলে স্টান্টবাজদের নগদপ্রাপ্তি জোটে সত্য কিন্তু অনেক সময়ই প্রকৃত কবিরা উপেতি হতে থাকেন। কারণ বিভিন্ন দশক ধরে ধরে সংকলন তৈরির সময় কবিদের সংখ্যাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। যেমন কোনো একটি সংকলনে পাঁচ দশকের কবিতা নেওয়া হবে। শর্ত প্রত্যেক দশক থেকে দশজন অন্তর্ভুক্ত হবেন। তর্কের খাতিরে দশকবিভাজন মেনে নিলেও একথা তো সত্যÑ সব দশকে সমান মেধাবী কবি জš§ান না। কোনো একটি বিশেষ দশকে একই সঙ্গে পনের জন একই মানের মেধাবী কবি জš§াতে পারেন, আবার এর পরবর্তী দশকে মোট কবিই হতে পারেন দশ জন। যারা পূর্ববর্তী দশকের মেধাহীনদের চেয়েও দুর্বল। দশকিয়া সংকলনের কারণে পূর্ববর্তী দশকের মেধাবীদের পনের জনকে পাঁচজনকে বাদ দিতে হয়, আর পরবর্তী দশকের অথর্বরাও তাদের সঙ্গে একই আসনে বসার ধৃষ্টতা দেখাতে পারে।
দশকবিভাজনের ফলে কবিতার কোনো আঙ্গিকগত কি মানগত কোনো পরিবর্তন সূচিত হয় না। কারণ দশক ধরে ধরে কবিতার চারিত্র্য বদলায় না। চারিত্র্যে পরিবর্তন আসে বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক ঘটনার পরিপ্রেেিত। আর এসব ঘটনা নিশ্চয় দশকের গজফিতা মেপে-মেপে ঘটে না। এ সম্পর্কে মোম-শ্লেষাÍ মন্তব্য করেছেন কবি পূর্ণেন্দু পত্রী। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘দশ বছর পরে পরে সত্যিই কি ন্যাড়া হয়ে যায় সাহিত্যের মাথা আর তাতে গজায় নতুন রঙের চুল?’ না নতুন রঙের চুল তো গজায়-ই না উল্টো বাসিচুলে বব কার্ট দিয়ে নারীপুরুষের লিঙ্গভেদ করার কসরতই চলে কেবল। একারণে হয়তো কবি মৃণাল বসু চৌধুরী দশকবাজদের ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘দশক ফুরানোর আগেই, সেই দশকের কবিতা বলে কোনো সংকলনগ্রন্থ প্রকাশ করতে চান যারা, তারা শুধু বাচালই নন, উš§াদও।’ বাচাল ও উš§াদ বলার মধ্যে কেউ কেউ অতিশয়োক্তির প্রমাণ খুঁজতে পারেন, কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলেই দশকবাজদের আচরণে ও কর্মে এই দুটি গুণের প্রমাণ মেলে। একথা ভুলে গেলে চলবে নাÑ একদুপুরের তীব্র আলো ও দাবদাহ যেমন সারা বছরের গ্রীষ্মকাল নয় তেমনি কল্পনার হঠাৎ ঝলকানিতেও সাহিত্যের বাঁকবদল হয় না। এ জন্য দরকার বিশেষ বিশেষ প্রবণতার ক্রমাগত পরিমার্জন পক্রিয়া। প্রতিটি বাঁক বদলের পেছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে অধ্যাবসায়ী নির্মাণ-কৌশল এবং নিরন্তর পরিচর্যা। যারা নিরন্তর পরিচর্যা এবং অনুশীলনের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে চান তারা জানেন দশক তো তুচ্ছ বিষয়, শতকও কবিতার কাল বিভাজনে গৌণ হয়ে ওঠে। একই প্রসঙ্গে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার বলেছেন, ‘দশক গৌণ কবিদের আশ্রয়।’ আর নতুন শতকের শুরুতে কবি আবিদ আজাদ লিখেছিলেন একটি শ্লেষাত্মক কবিতাÑ ‘২০০০’। ওই কবিতার শেষ পঙ্ক্তি এরকমÑ‘এই যে ভাই নামুন, নামুন, দেখুন আপনার দশক যায়।’ দশকবাজদের মূল উদ্দেশ্য একটাইÑ দশক শেষ হওয়ার আগেই দশকিয়া সংকলন বের করে নিজেকে বিভিন্ন দশকীয় লোকাল বাসের যাত্রীতে পর্যবসিত করা।
এখন প্রশ্ন হতে পারে কেন এই দশকবাজি কিংবা দশককেন্দ্রিক রাজনীতি? উত্তরও অজানা নয়। দশকবাজরা প্রকৃতপে কবিতাপ্রেমী নয়, খ্যাতি ও অর্থলোভী। কবিতা তাদের কাক্সিত ল্েয পৌঁছনোর সিঁড়ি মাত্র। দশকিয়া কবিতা সংকলন, বিভিন্ন সাহিত্যপত্র, ছোটকাগজ, দৈনিকলগ্ন সাহিত্যপাতাকে পুঁজি করে তারা মূলত অর্থবিত্তের ধান্ধায়ই থাকে। আর একাজে তাদের কিছু অনুসারীসৃষ্টি করতে হয়। অনুসারী লালনে ব্যয়িত হয় নগদ কিছু অর্থও। এই নগদ অর্থের উৎসÑ লেখক-কবিযশপ্রার্থী-আমলা-ব্যবসায়ীদের দশকওয়ারি কবি বানানোর প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য দুধরনের অর্থোপার্জন করেন তারা। দুর্বল ও মেধাহীনদের দশকওয়ারি কবিতা সংকলনগুলোর দিকে তাকালেই এই উক্তির সত্যতা মিলবে। এটা একধরনের অপরাধ। আর এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত মূলত অসাহিত্যিক সাহিত্য-সম্পাদক, দশকবাজ সংকলক ও গৃহপালিত সমালোচক। তারা রুচি নিয়ন্ত্রণ দূরের থাক, রুচি গঠনেও কোনও ভূমিকা রাখতে পারে না। কুয়োর ব্যাঙ কুয়োকেই বিশ্ব মনে করে, সেখানেই তার স্বর্গসুখ খোঁজে। দশকের কুয়োয় লাফানোর মধ্যে আনন্দ থাকতে পারে। কিন্তু এই লাফানো দিয়ে দিঘি-বিল-সমুদ্রে সাঁতার কাটার মতো দুঃসাহসকে ব্যঙ্গ করার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই নিশ্চয়। এ প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর উক্তিপ্রণিধানযোগ্যÑ ‘মজাখালে ডিঙ্গি ঠেলে খুব আনন্দ পাচ্ছি এমন কথা বলি আপত্তি নেই, কিন্তু তাই বলে বড় নদী বলে কিছু নেই দুনিয়াতে, বা ডিঙ্গির চেয়ে দ্রুত কোনো যান নেই কোথাও, বা বড় নদীর ও বড় যানের যাত্রীরা কোনো আনন্দ পায় না সমুদ্র-যাত্রায়, এইসব কথা বলতে যাওয়া আত্মপ্রবঞ্চনামূলক হবে।’ যারা এই আত্মপ্রবঞ্চনাকে কবিতায় সিদ্ধিলাভের মোম ভাবেন তারা মূলত বৃত্তাবদ্ধ। তারা কুয়োকে সমুদ্র আর ুদ্র গ্রামকে বিশ্বসংসার ভেবে আত্মতৃপ্তি পান। তাদের এই স্বভাবকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন ‘গ্রাম্যতা’। তার মতে, এই ‘গ্রাম্যতার কারণেই আমাদের দেশে বিজ্ঞানী এসেছে যদিও কিন্তু বিজ্ঞান প্রায় আসতেই পারল না, এ কারণেই আমাদের প্রকৌশলীরা হন তবলীগী, পদার্থ-বিজ্ঞানীরা হন জামাতী।’ দশকবাজরা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কথিত তবলিগি ও জামাতিই। তাদের মগজে গ্রাম্যতা, নীচতা এবং চিন্তায় হীনমন্যতা। ফলে নিজেরা সংকলনের কুয়োর মধ্যে আনন্দ পায় বলে অন্যকেও সেখানে প্ররোচিত করে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এক বা একাধিক কবি ও কথাশিল্পীর অভিন্ন রুচি, অভ্যাস, আচরণ ও শিা-দীার ঐকান্তিক চেষ্টায় গড়ে ওঠে একেকটি সাহিত্যিক প্রবাহ। একেকটি সাহিত্যিক ধারার উšে§ষ ও বিকাশের জন্য পঞ্চাশ বছর থেকে একশতাব্দি পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে একাধিক সাহিত্যিক প্রবণতাও সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। ইংরেজি সাহিত্যে যেমন ‘অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগ’, ‘এলিজাবেথীয় যুগ’, ‘নিউ ক্যাসিক যুগ’, ‘রোমান্টিক যুগ’, ‘ভিক্টোরীয় যুগ’, ‘অ্যাডওয়ার্ডীয় যুগ’, ‘আধুনিক যুগ’, ‘জর্জীয় যুগ’, বাংলায় তেমনি ‘বৈষ্ণব যুগ’, ‘চৈতন্য যুগ’, ‘মঙ্গলকাব্যের যুগ’, ‘নাথ যুগ’, ‘রবীন্দ্র যুগ’, ‘আধুনিক যুগ’, ‘কল্লোল যুগ’ সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব বলয়ের সাহিত্যিক একইসঙ্গে একাধিক যুগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাতে সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি কিংবা প্রবণতা শনাক্তির েেত্র কোনও অসুবিধা হয়নি। কারণ কবিতার যুগবিভাজন প্রবণতা ও চারিত্র্যনির্ভর। পাঁজি মিলিয়ে মিলিয়ে এ যুগ বিভাজন সম্ভব নয়। পাঁজি মিলিয়ে মিলিয়ে কবির বয়স ও কবিতাচর্চার সময়-ণ চিহ্নিত করা যায়। তাতে কবিতার ধারা সৃষ্টির কোনো লক্ষ্মণ ফুটে ওঠে না। আমাদের মনে রাখতে হবেÑ আম-জাম-নারিকেল-সুপারি-তুলসি গাছ প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে জšে§। কিন্তু কয়েক ক্রোশ পথ পাড়ি দিলেই তবে দেখা মেলে বটবৃরে। বটবৃরে জন্য প্রয়োজনও হয় উš§ক্ত প্রান্তরের। হেঁসেলের চালার নিচে বট হয় না। অর্থাৎ একদশকের ুদ্রবৃত্তে বড় কবির জš§ অসম্ভব। দশকে দশকে কবিয়ালের জš§ হয়, চণ্ডীদাশ-মাইকেল-রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ-শামসুর-আল মাহমুদের জন্য কয়েক যুগ থেকে শুরু করে শতকের ব্যবধানও প্রয়োজন।
0 Comments